শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
কবিতা হোক কিছু সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে বায়ান্নর ভাষা সৈনিকের পুত্রের মৃত্যু! লালমনিরহাটে ফুটেছে নাগলিঙ্গম ফুল দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সচেতনতা বিষয়ক র‍্যালি এবং স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪ অনুষ্ঠিত পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যাঁরা! টেবিল টক হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোঃ লিয়াকত হোসেন (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে বিজয়ী! পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোঃ রুহুল আমীন বাবুল (আনারস) প্রতীকে বিজয়ী! রেলপথ সংস্কার প্রকল্পে অনিয়ম অনুসন্ধানে লালমনিরহাটে দুদক! চলছে পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন

টেবিল টক

সাকি: ১৩/৩/২০২১ সকাল ৮-৪৫মিনিটে, নিউজার্সিতে,

আজ ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করার একটা ডেট ছিলো।

এপয়েন্টমেন্ট ছাড়া অফিসে ঢুকবার কোন অধিকার নেই এ সকল জায়গায়।

লিষ্ট ও সময়ের এনট্রিতে মিললেই ভিতরে যাওয়া যাবে। নিউজার্সি ড্রাইভার্স লাইসেন্স ও ভেহিকেল রেজিস্টেশন এর অফিস।

পার্কিং লটে জায়গা নেই। চক্কর কাটতে কাটতে একজন কাজ শেষে চলে গেলে, সেখানে গাড়ী রেখে ভিতরে যাবার প্রস্তুতি নিলাম।

 

চৌকিদার পার হলাম। ছোট্ট লাইন।

টেবিল কলম সব রাখা। চটপট ফরম ফিলাপ করে, একজনের কাছে সব কাগজ পত্র চেক করাতে হলো।

উনি দেখে বললেন, একদম ঠিক আছে।

তখন পরবর্তী উইনডোতে যাওয়া। কাগজপত্র দেখে, আর একবার চেক করে একটা ডকেট দিলেন।

কতো যে সুন্দর ব্যবহার।

পরবর্তী উইন্ডোতে নুতন লাইসেন্স দেবার জন্য ডাটা এন্ট্রি করানো হলো।

এর আগের ড্রাইভার্স লাইসেন্স ছিলো ফিলাডেলফিয়া স্টেট এর।সে লাইসেন্স রেখে দিলো।

এবার নিউজার্সির হবে।

এন্ট্রি শেষ করে, ছবি তোলা, তারপর টাকা জমা দেয়া। সব কাজ শেষ করে, একটা কাগজ হাতে ধরিয়ে দিলেন।

২০-৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পোষ্টে বাড়ী পৌছে যাবে তোমার ড্রাইভিং লাইসেন্স।

ধন্যবাদ জানিয়ে চলে আসলাম।

সব মিলিয়ে কুড়ি মিনিট হবে।

 

মনে মনে ডিজিটাল কারে বলে, তা টের পেয়ে ধন্যবাদ দিলাম, মানুষ সব ডাটা এন্ট্রি কতো সহজ করে ফেলেছে।

পৃথিবীকে মানুষ সবকিছু সহজ করে নেবার জন্য যতো ধরনের মেশিন পত্র বের করেছে, আজ তার একটা ধাপ পার হয়ে আসলাম।

এ পর্যন্ত যেতে আমাদের খুব একটা কষ্ট করতে হবে না, যদি অফিসের সামনে কোন দালাল না থাকে।

প্রত্যেক সরকারী অফিসের যে কোন কাজ করতে গেলেই, দালালদের ধোকাবাজীতে পরতেই হবে।

তবু মনে হয়, বাংলাদেশে এসব কাজে যথেষ্ট প্রশাসনিক অগ্রগতি হয়েছে।

একই ধরনের যন্ত্রপাতি দিয়েই কাজ হয়। ধুলা বালি, হৈচৈ, চেঁচামেচি, লাইনে না যাওয়া এসব কিছু সমস্যা, আর পিছন দরজা দিয়ে কিছু বাড়তি কামাই এর নেশা, সব অফিসে একটা মাফিয়া চক্র তৈরী করে নেয়।

 

এতো বেশী বেকারত্ব সবাই চাকরী পায় না। দালালি করে খেতে চায় কিছু মানুষ। এরা কোন সিসটেম মানে না।

বড় সাহেবরাও চাননা সিসটেম ভালো ভাবে চলুক। তাই সব কিছু থেকেও ৫০ পারসেন্ট কাজ নিয়মে, ৫০ ভাগ অনিয়মে।

 

এই অভিজ্ঞতার কথা এ জন্য লিখলাম,

কারন আজ থেকে প্রায় ২৫বছর আগে

ড্রাইভিং লাইসেন্স নেবার জন্য, ট্রাফিক সার্জেন্ট কে বললে, তিনি সোমবার সকাল নয়টায়, এক অফিসের দোতালায় ডাকলেন।

নয়টায় না যেয়ে দশটার পর যেয়ে দেখলাম, আগ্রহী প্রার্থীদের পরীক্ষা শেষ হলো একটু আগে।

বললাম, একটু লেট হয়ে গেলো।

মোল্লা স্যার এডিসি জেনারেল।

বললেন, ওনাকে কোশ্চেন দেন। ডাক্তার মানুষ। সময়ের অনেক দাম।

আমি প্রশ্নপত্র পেয়ে চটপট উত্তর দিয়ে ফেললাম, আর যে কয়টা পারলাম না, সার্জেন্ট পাশে এসে, বললেন, এটা ক

এটা খ, এভাবে চারটা বলে দেয়াতে,

কুড়িতে কুড়ি পেয়ে, এ ডি সির ঘরে গেলে, উনি সব কাগজ সাক্ষর করে দিয়ে বললেন, যান সব কাজ করে দিলাম।

পনেরো দিনপর ফিল্ডটেষ্ট।

আমাকে দেখেই সবাই বললেন, যাঁরা পরীক্ষা নেবেন, আপনিতো ভালোই গাড়ী চালান। রাস্তায় তো আপনাকে দেখি।

তবু আমি জোড় করে ফ্ল্যাগ টেষ্ট দিলাম এবং একবারেই পাশ করলাম।

অন্য টেষ্ট যেমন প্যারালাল পার্কিং বা ড্রাইভিং এর টেষ্ট গুলো না নিয়েই বললেন, যান আপনি পাশ।

মাসখানেক পর লাইসেন্স পেলাম।

নিজের গরজে একা গাড়ী চালিয়ে সব খানে যাওয়া আসা করবো এবং পথচারীরা যাতে সেফ থাকে, তেমন একটা মন নিয়ে, গাড়ী চালানো শিখেছিলাম। কখনো কোন অপ্রীতিকর দুর্ঘটনার মাঝে পড়িনাই।

অনেককে ড্রাইভিং শিখিয়েছি, যারা ভালোই আছে এই প্রফেশনাল স্কিল রপ্ত করে।

 

আমেরিকায় গাড়ী নেই ড্রাইভিং শেখেনি এমন মানুষ কম। তবে যাঁরা বড় শহরে থাকেন, তাঁরা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলেন, গাড়ী থাকার ঝামেলার কথা ভেবে, অনেকে গাড়ী চালান না।

 

ইদানিং লালমনিরহাটে টিটিসিতে ড্রাইভিং শেখানো হচ্ছে।

তবে এর জন্য, সুন্দর মাঠ এবং প্রাকটিস করার ফিল্ড দরকার। যাতে করে নবীসরা নিঃশঙ্ক চিত্তে কোন দুর্ঘটনার ভয় না করে, গাড়ী চালানো রপ্ত করে, তারপর পথে নামে।

 

ঘুষ দিয়ে ড্রাইভার হয়ে, লাইসেন্স নিয়ে, কতো আদম সন্তান পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছেন, অন্যকে হত্যা করে কতো মানুষের অভিশাপে অভিশপ্ত হয়েছেন।

এসব বন্ধ হোক।

মানুষ নিয়মের মাঝে আসুক।

 

আর একদিন আমেরিকার টেক্সাসে ড্রাইভারস্ লাইসেন্স কিভাবে পেয়েছিলাম ২০০৭ সালে সে গল্প বলবো।

ভালো থাকুন সবাই।

******

১৩/৩/২০২১

টিনটনফলস্, নিউজার্সি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone